পাঠাও রাইডার হিসেবে জিন্নাত উল ফেরদৌস
- পাঠাও অগ্রযাত্রার অগ্রদূত
- আগস্ট 12, 2018
পাঠাও রাইডার হিসেবে জিন্নাত উল ফেরদৌস
অগ্রযাত্রার অগ্রদূতঃ জিন্নাত উল ফেরদৌস
পাঠাও চালিয়ে বিভিন্ন রকম মানুষদের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়। বিভিন্ন ইউজারদের সাথে কথা বলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে পারি ও সেখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি।
নামঃ জিন্না্ত উল ফেরদৌস।
বাড়িঃ ঢাকা
আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলুনঃ
আমি বড় হয়েছি ঢাকাতেই। আমার বাবা ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে কাজ করতেন। বর্তমানে আমি একটি কোম্পানিতে মার্কেটিং এ কাজ করছি। চারজন সদস্য নিয়ে আমার পরিবার। চাকরীর পাশাপাশি পাঠাও তে রাইড শেয়ার করছি।
পাঠাও কিভাবে আপনার জীবনে পরিবর্তন এনেছে?
যখন আমার নিজস্ব মোটরসাইকেল ছিল না তখন সবার মতো আমাকেও ট্রাফিক জ্যামে বসে থাকতে হতো। প্রতিদিন রাস্তায় প্রচুর সময় নষ্ট হতো। আশেপাশে কেউ বাইক চালিয়ে গেলে মনে হতো “ইশ! আমাকে যদি একটু বলতো, আসুন ভাই আপনাকে নামিয়ে দেই?” পরে যখন সামর্থ্য হলে নিজের মোটরবাইক কিনেই ফেলি, যেখানেই যেতাম, পথে এমন কাউকে পেলেই বলতাম: “আসেন ভাই, আমিও ঐদিকে যাচ্ছি। চলেন আপনাকে নামিয়ে দেই।’ কিন্তু অধিকাংশ সময়ে যাত্রীরা আমার প্রস্তাব শুনে নিরাপত্তার খাতিরে ইতস্তত বোধ করতেন। হঠাৎ করেই একদিন পাঠাও এর কথা জানলাম। তারপর তাদের এক ইভেন্ট চলাকালীন সময়ে আমি রাইডার হিসেবে সাইন-আপ করি। যখন থেকে পাঠাও আমার জীবনে এসেছে তখন থেকে আমি সহজেই অন্যদের সাথে রাইড শেয়ার করে উপকার করতে পারি।
পাঠাও এর সঙ্গে আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিছু বলুনঃ
আসলে, পাঠাও চালিয়ে বিভিন্ন রকম মানুষদের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়। বিভিন্ন ইউজারদের সাথে কথা বলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে পারি। আমি নিজেও সেখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। আমার একবার এমন এক ইউজারের সাথে পরিচয় হয়েছিল যিনি একটি রক্তদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। তাই তার সাথে আমার পরবর্তীতে কাজ করার সুযোগ এসেছে। জানিস তো আমি মেডিকেল যন্ত্রাদি বানানোর শিল্পে আছি সে কবে থেকে! আরেকবার আমার এক তরুণীর সাথে পরিচয় হয়, যাকে আমি ইউনিভার্সিটি থেকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম তিনি একজন ছাত্রী কিন্তু না! তিনি একজন শিক্ষিকা। পথে হঠাৎ থামতে বললেন। আমি তো টাসকি খেলাম। কোন ভুল হয়ে গেলো না তো? বাইক থামিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই তিনি হাসি মুখে বললেন, ভেলপুরি খাওয়ার জন্য নেমেছি। আপনিও আসুন। আমার বিস্ময়ের সীমানা রইল না। এই যে ব্যবহার এবং বিশ্বাস সেটাই বড় প্রাপ্তি।
পাঠাও রাইডার হতে এখানে ক্লিক করুন