পাঠাও রাইডার মেসবাহ উল হক এর কথা
- পাঠাও অগ্রযাত্রার অগ্রদূত
- আগস্ট 12, 2018
পাঠাও রাইডার মেসবাহ উল হক এর কথা
অগ্রযাত্রার অগ্রদূতঃ মেসবাহ উল হক
ব্যবসা চালানোর সময় সর্বদা আমি নতুন ক্লায়েন্ট এবং ব্যবসায়ের সম্ভাব্য পার্টনারদের সাথে পরিচিত হতাম। এখন পাঠাও এর মাধ্যমে আমি আমার নেটওয়ার্ক বাড়িয়ে চলেছি।
*নামঃ মেসবাহ উল হক
*বাড়িঃ শিবগঞ্জ
নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন:
শিবগঞ্জের ছেলে আমি। ইন্টারমিডিয়েট পাস করা পর্যন্ত ছিলাম সেখানেই। এরপর চলে এলাম রাজশাহীতে, সেখান থেকেই পাস করলাম বিবিএ এবং এমবিএ। একটা সময় ব্যবসা করতাম, তারপর চাকরী – আর এখন পাঠাও তে রাইড দিচ্ছি। দুই সন্তানকে নিয়ে আমার পরিবার।
পাঠাও কিভাবে আপনার জীবনকে প্রভাবিত করেছে?
যখন আমি বিভিন্ন জায়গায় চাকরির জন্য হন্যে হয়ে দৌড়াচ্ছিলাম, সেখানে পাঠাও আমাকে দিয়েছে স্বাধীন হওয়ার সুযোগ। আমি আমার পছন্দমতো সময়ে রাইড শেয়ার করে আয় করতে পারছিলাম। কোনোদিনই আমার ডেস্ক-জব ভালো লাগতো না, কারণ বাইরে কাজ করে অন্যরকম এক শান্তি আছে। তাছাড়া পাঠাও রাইডার হিসেবে আমার সময় বাঁধাধরা ছিলোনা। সুযোগ বুঝে এবং আমার সুবিধামতো আমি রাইড দিতে পারি। দেখতে দেখতেই ৩ মাসের মধ্যে আমি ১ লক্ষ টাকা আয় করলাম এবং পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে আমার সকল ঋণ শোধ করে দিলাম! ঋণমুক্ত হয়ে মনে হল যেন বিশাল বড় এক বোঝা উঠে গিয়েছে। যে ঋণের বোঝার মাথায় নেয়নি, সে কোনোদিনও এই শান্তি বুঝবে না। তাছাড়া, দৈনিক পাঠাও চালিয়ে অনেক ধরণের ইউজার দের সাথে পরিচয় হয়। ঢাকা বড়োই ব্যস্ত শহর, সবারই কোন না কোন তাড়া থাকেই। যখনই কোনো ইউজারকে তাদের গন্তব্যে সময়মতো নামিয়ে দিই, তখন তাদের প্রশান্তির দীর্ঘশ্বাস দেখে নিজের কাছেই বেশ ভালো লাগে।
রাইডার হিসেবে কিছু বিশেষ মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করুন:
একবার রাত ১১টায় একটা রাইড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করলাম। মহাখালীর আশপাশ থেকে একজন নারী ইউজার উঠলেন। বেশ গল্প করতে করতে আমরা যাচ্ছিলাম, আর তখন কৌতূহলবশত জিজ্ঞেস করলাম: “এতো রাতে একটি আগন্তুক এর বাইকে চড়তে আপনার ভয় করছে না?”
তিনি জানালেন যে পাঠাও প্লাটফর্মটি থাকায় তিনি বেশ কৃতজ্ঞ। এই প্লাটফর্মটিতে তিনি একজন সম্পূর্ণ অপরিচিত রাইডারের সাথে বাইকে উঠছেন তবুও তিনি পাবলিক বাহনের থেকে নিরাপদবোধ করেন। ঐসময় ব্যাপারটি আমার কাছে বিভ্রান্তিকর মনে হলেও আমি বুঝলাম যে কথাটির যুক্তি কতখানি। আমার সবচেয়ে ভালো লাগে যখন যাত্রীদের টাইম মতো তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারি। যখন তাঁরা সামান্য ধন্যবাদ দেন, এটাই আমার জন্য অসামান্য ব্যাপার হয়ে উঠে।
আপনি কি অন্য রাইডারদের পাঠাও এ যোগদান করতে অনুপ্রাণিত করবেন?
অবশই! এক্সট্রা আয়ের জন্য পাঠাও একটি পরীক্ষিত মাধ্যম। আপনার সংসার আপনি চালাতে পারবেন শুধুমাত্র রাইডস্ দিয়ে। বিশেষ করে যারা ছাত্র মানুষ তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। আমি এমন অনেক রাইডারকেই দেখেছি যারা ছাত্রাবস্থায় ইউনিভার্সিটির টিউশন ফী বহনের জন্য রাইডস দিচ্ছে। রাইডস শেয়ার করার মাধ্যমে সারা শহরের বহু মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া যায়। ব্যবসা চালানোর সময় আমি হরদম নতুন ক্লায়েন্ট এবং ব্যবসায়ের সম্ভাব্য পার্টনারদের সাথে পরিচিত হতাম। এখন পাঠাও এর মাধ্যমে আমি আমার নেটওয়ার্ক বাড়িয়ে চলেছি।
পাঠাও আসাতে আমার মত হাজারো রাইডারদের অনেক উপকার হয়েছে। পাঠাও এর জন্যে অনেক অনেক দোয়া রইলো আমাদের সবার!
পাঠাও রাইডার হতে এখানে ক্লিক করুন