পাঠাও নিয়ে এলো পাঠাও কার প্রাইম ও পাঠাও কার ম্যাক্স
- পাঠাও কার
- সেপ্টেম্বর 24, 2024
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং কোম্পানি পাঠাও, তাদের ইউজারদের আরও প্রিমিয়াম সার্ভিস দিতে নিয়ে এসেছে দুইটি সার্ভিস পাঠাও কার প্রাইম ও পাঠাও কার ম্যাক্স। পাঠাও সবসময় ইউজারদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। আর তাই, ইউজারদের সাশ্রয়ী মূল্যে রাইড-শেয়ারিং সেবা দিতে পাঠাও কার প্লাস যেমন শুরু করেছিলো, ঠিক সেভাবেই তাদের প্রিমিয়াম ও দল নিয়ে যাতায়াতের উপযোগী হিসেবে নিয়ে এসেছে পাঠাও কার প্রাইম ও কার ম্যাক্স। আর এর মাধ্যমেই ইউজারদের যাতায়াত সেবাকে সম্পূর্ণ করছে পাঠাও।
পাঠাও কার প্রাইম এবং পাঠাও কার ম্যাক্স যুক্ত হওয়ার পর, এখন পাঠাও ইউজারদের জন্য সব ধরনের যাতায়াতের সুবিধা দিচ্ছে। আপনার যদি সাশ্রয়ী ভাড়া, প্রিমিয়াম গাড়ি, অথবা বড় গাড়ির প্রয়োজন হয়, পাঠাও এর মাধ্যমে আপনি এই সব ধরনের চাহিদা মেটাতে পারবেন।
সাশ্রয়ী ও বিশ্বস্ত যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে ইউজারদের জন্য পাঠাও কার প্লাস বেস্ট অপশন। ভালো সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমে এরই মাঝে ইউজারদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে পাঠাও কার প্লাস।
আর ইউজারদের জন্য হাই-কোয়ালিটি গাড়ি এবং আরও বেশি কমফোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে প্রিমিয়াম সার্ভিস নিশ্চিত করছে পাঠাও কার প্রাইম। যারা আরামদায়ক ট্রান্সপোর্ট পছন্দ করেন তাদের জন্য এই সার্ভিসটি একদম পারফেক্ট। প্রতিটি গাড়ি ভালোভাবে মেইনটেইন করা এবং ক্যাপ্টেনদের পাঠাও সাপোর্ট সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে এর প্রিমিয়াম সেবা নিশ্চিত করা হয়।
পাঠাও কার ম্যাক্স সার্ভিসটি তাদের জন্য যারা কর্পোরেট ইভেন্টে যাতায়াত অথবা পারিবারিক আউটিং-এ ট্রাভেল করার সময় একটু বেশি কমফোর্ট পছন্দ করেন। এই সার্ভিসের কারগুলো বড় হওয়ায় একসাথে অনেক যাত্রী ধারণ করতে পারে। পাঠাও কার ম্যাক্স-এর কারগুলো সাত সিটের হয় যেমন নোয়াহ, হাই-এস। পাঠাও কার ম্যাক্স-এর ক্যাপ্টেনরা ইনার সিটি ও ইন্টারসিটি উভয় ধরণের ট্রিপ দেওয়ার ফ্লেক্সিবিলিটি রাখেন। এই সার্ভিসের কারগুলো যেন ভালো অবস্থায় থাকে তা নিশ্চিত করার সময় সবসময় মেইনটেইনড করা হয়।
পাঠাও বাংলাদেশের ইউজারদের কমফোর্টেবল ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে সেইফ এবং রিলায়েবল সার্ভিস দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাঠাও কার প্রাইম এবং পাঠাও কার ম্যাক্স সব ধরণের ইউজারদের প্রিমিয়াম ট্রাভেল এক্সপেরিয়েন্স দেওয়ার চেষ্টা করছে।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও, এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করছে যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩,০০,০০০ পাঠাও হিরো ও ডেলিভারি এজেন্ট, ১,০০,০০০ মার্চেন্ট এবং ১০,০০০ রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫,০০,০০০-এরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।