পাঠাও ব্লগ

সকল বিবৃতি, আপডেট, রিলিজ ও অন্যান্য

blog image

#MovingSafely সবার জন্য! | ইউজার, রাইডার ও ক্যাপ্টেনদের জন্য সেফটি টিপস

MovingSafely সবার জন্য! ইউজার, রাইডার ও ক্যাপ্টেনদের জন্য সেফটি টিপস

#MovingSafely সবার জন্য! | ইউজার, রাইডার ও ক্যাপ্টেনদের জন্য সেফটি টিপস

পাঠাও শুধু আপনার বিপদের বন্ধুই নয়, পাঠাও আপনার পরিবারের একটি অংশ। আর পরিবারের দায়িত্ব হলো সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করা, তাই আপনার নিরাপত্তার জন্য আমরা তুলে ধরছি কিছু সেফটি টিপস। এখানে ইউজার, রাইডার ও ক্যাপ্টেন সবার জন্যই জরুরী টিপস আছে। 

বাইক ইউজারদের জন্য সেফটি টিপস:বাইক ইউজারদের জন্য সেফটি টিপস:

  • রাইড এর আগে সব ইউজারের হেলমেট পরে নেয়া উচিৎ, যাতে যেকোন রকমের হেড ইনজুরি এড়ানো যায়।
  • হেলমেট খুব টাইট বা খুব লুস হবার কোন দরকার নেই । এটা যেন আপনার মাথার সাথে পারফেক্টলি ফিট হয়।
  • নিজের কোন রকমের পার্সোনাল তথ্য রাইডারের সাথে শেয়ার করবেন না।
  • বাইকে অযথা পা দুলাবেন না। যথাসম্ভব সোজাভাবে বসে থাকার চেষ্টা করুন। আপনার পা সবসময় ফুটরেস্ট বা পাদানিতে রাখুন। বাইক চলন্ত অবস্থায় কখনোই পা নিচে নামিয়ে বা ঝুলিয়ে রাখবেন না। অন্যথায় এতে বাইক ব্যালেন্সিং – এ অসুবিধা হয়।
  • চলন্ত অবস্থায় বাইকে উঠবেন না। পাঠাও রাইডার বাইকের কিক-স্ট্যান্ড না উঠানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর তিনি প্রস্তুত হয়ে আপনাকে উঠতে বললেই উঠে পড়ুন।
  • বাইক থেকে নামার সময় ফুটরেস্ট বা পাদানিতে একপা রেখে সাবধানতার সাথে নামুন।
  • চলন্ত অবস্থায় গল্প করা থেকে বিরত থাকুন, এতে রাইডার মনোযোগে ব্যঘাত ঘটে। দিক নির্দেশনা দেয়ার ক্ষেত্রে হাত ব্যবহার করতে পারেন।
  • ফিলিং স্টেশনে ফুয়েল নেয়ার সময় অবশ্যই নেমে দাঁড়ান। ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
  • রাইডারকে কোনভাবেই দ্রুত যেতে তাড়া দিবেন না কারন অতিরিক্ত স্পিডিং এর কারনেই অধিকাংশ অ্যাক্সিডেন্ট ঘটে থাকে।

 

কার ইউজারদের জন্য সেফটি টিপস:কার ইউজারদের জন্য সেফটি টিপস:

  • শুধু চালক নন, সকল গাড়ির যাত্রীদেরও সিট বেল্ট বাঁধা বাধ্যতামূলক। গাড়ি অ্যাক্সিডেন্টের সময় গাড়ির যাত্রি ও চালক ব্যাথা পান গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল, ড্যাশ বোর্ড বা সামনের উইন্ডস্ক্রিনে ধাক্কা খেয়ে। তাই গাড়ির সিট বেল্ট বাধা থাকলে নানা ধরনের ছোট বড় দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব।
  • চলন্ত অবস্থায় গাড়ির বাইরে হাত বা মাথা বের করবেন না। এতে করে বড় ধরনের অ্যাক্সিডেন্টের ঝুঁকি কমে।
  • ফিলিং স্টেশনে ফুয়েল নেয়ার সময় অবশ্যই গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ান। ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
  • গাড়িতে রেডিও কিংবা গান শুনলে ভলিউম কমিয়ে রাখুন। কারন উচ্চ ভলিউমে রেডিও বা গান শুনলে পাঠাও চালকের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
  • গাড়ি চলন্ত অবস্থায় গল্প করা থেকে বিরত থাকুন, এতে চালকের মনোযোগে ব্যঘাত ঘটে। 
  • ক্যাপ্টেনকে কোনভাবেই দ্রুত যেতে তাড়া দিবেন না কারন অতিরিক্ত স্পিডিং এর কারনেই অধিকাংশ অ্যাক্সিডেন্ট ঘটে থাকে।  

 

বাইক রাইডারদের জন্য সেফটি টিপসবাইক রাইডারদের জন্য সেফটি টিপস

  • অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার করুন। বাইক আরোহীর জন্য সাথে এক্সট্রা হেলমেট বহন করুন।
  • স্পিড নিয়ন্ত্রন করুন। ঝুঁকিপুর্ন স্টান্ট থেকে বিরত থাকুন। অপ্রয়োজনীয়ভাবে ইমারজেন্সি ব্রেক ব্যবহার করা পরিহার করুন।
  • রাইড শুরু করার আগে অবশ্যই ফুয়েল ট্যাঙ্ক, টায়ার প্রেসার, হেডলাইট, ব্রেকসহ প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রাংশ চেক করে নিন।
  • দুজনের বেশি বাইকে বসা যেমন বেআইনী তেমনি অনিরাপদ। তাই দুজনের বেশি বাইকে নিবেন না।
  • বাইক চালানো অবস্থায় মোবাইলে কথা বলা মোটেও উচিত নয়। প্রয়োজনে বাইক রাস্তার একপাশে নিরাপদে পার্ক করে এরপর কথা বলুন।
  • অপ্রয়োজনীয় ওভারটেক বিপদ ডেকে আনে। অপ্রয়োজনীয় ওভারটেক থেকে বিরত থাকুন। নিরাপত্তার সার্থে ওভারটেকিং এর জন্য অবশ্যই হর্ন ব্যবহার করুন।
  • কোন গাড়ীর একেবারে পেছন পেছন চলা ঠিক নয়। এটাকে চালকের ব্লাইন্ড স্পট ধরা হয়। সামনের গাড়ীর সাইড ভিউ মিররে দৃশ্যমান থাকার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে হেডলাইট অন করে নিন।
  • সঠিক ভাবে লেইন পরিবর্তন করুন। লেন পরিবর্তনের আগে কোনদিকে বাঁক নিবেন তা জানাতে ইন্ডিকেটর ব্যবহার করুন এবং সাইড মিররে নজর রাখুন।
  • ক্লান্ত অবস্থায় রাইড দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • ট্রাফিক রুলস জানুন এবং মেনে চলুন।
  • স্পীড লিমিট মেনে চলুন।
  • যেকোন প্রকার অমনোযোগীতা আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে । তাই, পাঠাও রাইডিং এর সময় কানে হেডফোন দিয়ে গান শোনা বা কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
  • বৃষ্টির সময় রোড ভেজা থাকার কারণে আপনার বাইকের চাকা খুব সহজেই স্লিপ করতে পারে। তাই অবশ্যই বাইক খুব আস্তে রাইড করবেন এবং ব্রেকিং এর সময় হার্ড ব্রেকিং থেকে বিরত থাকবেন।

 

কার ক্যাপটেনদের জন্য সেফটি টিপস:কার ক্যাপটেনদের জন্য সেফটি টিপস:

  • সবসময় সিট বেল্ট ব্যবহার করুন।
  • গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল কিংবা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করবেন না।
  • রাইড শুরু করার আগে অবশ্যই ফুয়েল ট্যাঙ্ক, টায়ার প্রেসার, হেডলাইট, ব্রেকসহ প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রাংশ চেক করে নিন।
  • ধীরে চালান। দ্রুতগতি আপনার সময় বাঁচাতে পারে কিন্তু দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
  • রাস্তার ট্রাফিক অ্যালার্ট মেনে চলুন।
  • লেন পরিবর্তন, বাঁক নেয়া, সিগন্যালের ক্ষেত্রে ইনডিকেটর ব্যবহার করবেন। নতুন লেনের গাড়ির দিকে নজর রাখুন এবং গাড়ি অবশ্যই ধীরে চালাবেন।
  • সামনের গাড়ী থেকে অন্ততপক্ষে ১০ ফিট দূরত্ব বজায় রাখুন।
  • ঘুম ঘুম চোখে, ক্লান্ত অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না।

একটু সচেতনতাই আমাদেরকে বাঁচাতে পারে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ও বিপদ থেকে। তাই নিজে সচেতন হোন, পাশাপাশি অন্যদেরও এ বিষয়ে সচেতন করে তুলুন। আজই পরিবার ও বন্ধুদের সাথে এই টিপসগুলো শেয়ার করুন! 

 

ডাউনলোড পাঠাও অ্যাপ