পাঠাও ব্লগ

সকল বিবৃতি, আপডেট, রিলিজ ও অন্যান্য

blog image

পাঠাও কুরিয়ার-এর প্রোডাক্ট প্যাকেজিং টিপস

প্রোডাক্ট প্যাকেজিং টিপস

আপনার ব্যবসার মূল্যবান পণ্যের সুরক্ষায় প্যাকেজিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। অনেকেই ব্যবসার শুরুতে এই গুরুত্বপূর্ণ ধাপটি অবহেলা করেন, যার ফলে কাস্টমারের হাতে পৌঁছানোর আগেই পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। এতে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতিই নয়, ব্র্যান্ডের ওপর কাস্টমারের আস্থা হারানোর সম্ভাবনাও থাকে। মনে রাখবেন, সঠিক প্যাকেজিং পদ্ধতি অনুসরণ করলে তা অপ্রয়োজনীয় কোনো খরচ নয়, বরং তাতে নিশ্চিত হয়-

১) সঠিক এবং অক্ষত অবস্থায় কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট পৌঁছানোর নিশ্চয়তা।

২) ডেলিভারি ফেইল অথবা রিটার্ন এর ক্ষেত্রে আপনার প্রোডাক্ট অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাওয়ার নিশ্চয়তা।

৩) প্রোডাক্ট হারানোর ঝুঁকি কমে যাওয়ার নিশ্চয়তা।

৪) ডেলিভারি বা রিটার্নের সময় পাঠাও কুরিয়ার-দ্বারা আপনার প্রোডাক্টের কোনো ক্ষতি হলে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার নিশ্চয়তা।

তাই ফ্র্যাজাইল পণ্য পাঠানোর সময় সঠিক প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল নির্বাচন এবং সঠিকভাবে র‍্যাপ করাটা অত্যন্ত জরুরি।

প্যাকেজিংয়ের জন্য যেসব ম্যাটেরিয়াল সাধারণত প্রয়োজন হয়:

নংপ্যাকেজিং ম্যাটেরিয়ালের নাম এবং ব্যবহারছবি
০১সেলোফেন পলিব্যাগ কাপড় এবং অন্যান্য প্রোডাক্টে ধুলাবালি, পানি, বা যেকোনো ধরণের ময়লা এড়াতে হালকা পলিব্যাগ ব্যবহার করুন। এতে করে বাইরের প্যাকেজিংয়ে কোনো ক্ষতি হলেও আপনার প্রোডাক্ট সুরক্ষিত থাকবে।1
০২মেইলার পলিব্যাগ যেকোনো কাপড়, প্লাস্টিক, স্টিল ইত্যাদি পণ্যের জন্য উপযোগী। যেসব প্রোডাক্ট ভঙ্গুর নয়।পলিব্যাগের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন,যাতে  যথেষ্ট মোটা এবং শক্তিশালী আঠা ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া আপনার পলিব্যাগ ছিড়ে যেতে পারে।3
০৩প্যাডেড এনভেলাপ যেকোনো হালকা ভঙ্গুর প্রোডাক্ট-এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন, যেমনঃ মোবাইল কাভার, ঘড়ির বক্স ইত্যাদি।এটি বাবল র‍্যাপ এর বিকল্প নয়, তবে কিছু পরিমাণ সেফটি নিশ্চিত করবে।2
০৪বাবল র‍্যাপ যেকোনো ভঙ্গুর প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে স্বল্প খরচে প্রোটেকশন নিশ্চিত করার সহজ উপায়। বাবল র‍্যাপের ৩ থেকে ৫ টি আবরণ দিলে প্রায় যেকোনো ধরণের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।যেকোনো কাঁচ, সিরামিক, বা ভঙ্গুর প্লাস্টিকের তৈরি প্রোডাক্ট অবশ্যই বাবল র‍্যাপ দিয়ে মুড়িয়ে কুরিয়ার-এর জন্যে প্রস্তুত করবেন। বিভিন্ন ফার্নিচার বা মূল্যবান প্রোডাক্ট-এর বক্সের বাহিরেও ৩ লেয়ার বাবল র‍্যাপ দিতে পারেন।4
০৫কার্ডবোর্ড বা করুগেটেড বক্স পরিবহনের সময় কোনো ধরণের চাপ বা আঁচড় থেকে মুক্ত থাকতে আপনার প্রোডাক্ট প্রয়োজনীয় পরিমাণের শক্ত বক্সের ভিতরে দিন।যেকোনো ভঙ্গুর বা কাঁচের পণ্যের ক্ষেত্রে বক্স, বাবল র‍্যাপ এবং ফ্র্যাজাইল স্টিকার ব্যবহার বাধ্যতামূলক।5
০৬ভঙ্গুর বা ফ্র্যাজাইল স্টিকার ডেলিভারি করার সময় সাবধানে পরিবহন করার নির্দেশনা হিসেবে আপনার প্রোডাক্ট-এর উপরে এই ধরণের স্টিকার ব্যবহার করতে পারেন।
যেকোনো ভঙ্গুর বা কাঁচের পণ্যের ক্ষেত্রে বক্স, বাবল র‍্যাপ এবং ফ্র্যাজাইল স্টিকার ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
6
০৭তরল বা লিকুইড স্টিকার খাবার বা যেকোনো তরল প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে লিকুইড স্টিকার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। তাছাড়া তরল প্রোডাক্টের ক্যাপ বা সিল টেপ দিয়ে মুড়িয়ে প্যাক করুন।7
০৮স্কচ টেপ আপনার প্রোডাক্ট এর বক্স বা পলিব্যাগের প্যাকেজিং সিল নিশ্চিত করতে টেপ ব্যবহার করুন। এখানে আপনার নিজস্ব ডিজাইনের টেপ ব্যবহার করে ব্র্যান্ডিং এবং নিরাপত্তা বাড়িয়ে নিতে পারেন।8
০৯ডানেজ পেপার, পুরাতন কাগজ বা নিউজপেপার বক্সের ভিতরে খালি জায়গা পূরণ করতে আপনি যেকোনো ধরণের কাগজ, কাপড় বা ফোম বল, উচ্ছিষ্ট বাবল র‍্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে বক্সে কোনো চাপ পড়লেও ভিতরের প্রোডাক্টের ক্ষতি হবে না।9

কোন ক্যাটাগরির জন্য কেমন প্যাকেজিং:

নংক্যাটাগরিপ্রস্তাবিত প্যাকেজিং 
০১কাপড় জাতীয় প্রোডাক্ট১) সেলোফেন পলিব্যাগ
২) মেইলার পলিব্যাগ
ঐচ্ছিকঃ
৩) মেইলার পলিব্যাগ এর পরিবর্তে কার্ডবোর্ড বা করুগেটেড বক্স
৪) বাবল র‍্যাপ
০২ইলেক্ট্রনিক্স বা গ্যাজেট আইটেম১) কার্ডবোর্ড বা করুগেটেড বক্স
২) বাবল র‍্যাপ
৩) ভঙ্গুর বা ফ্র্যাজাইল স্টিকার
০৩খাবার জাতীয় প্রোডাক্ট১) কার্ডবোর্ড বা করুগেটেড বক্স
২) বাবল র‍্যাপ
৩) তরল বা লিকুইড স্টিকার, অথবা,
৪) ভঙ্গুর বা ফ্র্যাজাইল স্টিকার
০৪কসমেটিকস, পারফিউম ইত্যাদি১) কার্ডবোর্ড বা করুগেটেড বক্স
২) বাবল র‍্যাপ
৩) ভঙ্গুর বা ফ্র্যাজাইল স্টিকার, অথবা,
৪) তরল বা লিকুইড স্টিকার
০৫ওষুধ, সাপ্লিমেন্ট ইত্যাদি১) কার্ডবোর্ড বা করুগেটেড বক্স
২) বাবল র‍্যাপ
৩) ভঙ্গুর বা ফ্র্যাজাইল স্টিকার
ঐচ্ছিকঃ
৪) তরল বা লিকুইড স্টিকার
০৬বই, ম্যাগাজিন ইত্যাদি১) সেলোফেন পলিব্যাগ
২) মেইলার পলিব্যাগ
৩) বাবল র‍্যাপ
ঐচ্ছিকঃ
৪) ডানেজ পেপার, পুরাতন কাগজ বা নিউজপেপার
০৭ডকুমেন্ট১) সেলোফেন পলিব্যাগ
০৮যেকোনো ভঙ্গুর প্রোডাক্ট১) কার্ডবোর্ড বা করুগেটেড বক্স
২) বাবল র‍্যাপ
৩) ভঙ্গুর বা ফ্র্যাজাইল স্টিকার
৪) ডানেজ পেপার, পুরাতন কাগজ বা নিউজপেপার
ঐচ্ছিকঃ
৫) তরল বা লিকুইড স্টিকার

প্যাকেজিংয়ের কিছু অতিরিক্ত টিপস:

  • পণ্যের আকৃতি অনুযায়ী সাইজের বক্স ব্যবহার করুন, অতিরিক্ত ফাঁকা জায়গা ঝুঁকি বাড়ায়।
  • প্রতিটি ফ্র্যাজাইল আইটেম আলাদা করে র‍্যাপ করুন যদি একাধিক পণ্য একসাথে পাঠান।
  • পার্সেলের ওজন অনুযায়ী টেপিং করুন যাতে তা ট্রানজিটে খুলে না যায়।

আপনার যত্নবান প্যাকেজিংই কাস্টমারের কাছে পৌঁছানো পণ্যের গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রাখবে এবং ব্যবসার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে।

ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া ও নীতিমালা:

১। ডেলিভারি বা রিটার্নের সময় প্রোডাক্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে:

যদি সঠিকভাবে প্যাকেজ করার পরেও প্রোডাক্ট ডেলিভারি বা রিটার্নের সময় নষ্ট বা ভেঙে যায়, তাহলে পাঠাও কুরিয়ার সেই ক্ষতির জন্য মার্চেন্টকে ক্ষতিপূরণ দেবে। এই ধরনের কোনো সমস্যা হলে, অনুগ্রহ করে আপনার মার্চেন্ট প্যানেল থেকে রিপোর্ট করুন। আমাদের টিম বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এবং আপনাকে আপডেট জানাবে।

২। তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র:

ক্ষতির অভিযোগ যাচাই করতে পাঠাও কুরিয়ার মার্চেন্টের কাছে প্রোডাক্টের ছবি, প্যাকেজিংয়ের ভিডিও ইত্যাদি চাইতে পারে। সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য আপনার সহযোগিতা কাম্য।

৩। সমস্যা সমাধানের সময়সীমা:

সমস্যা রিপোর্ট করার পর পাঠাও কুরিয়ার সাধারণত ৭-১৪ দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে। তবে কিছু ক্ষেত্রে তদন্তের কারণে সময় একটু বেশি লাগতে পারে। আমরা অনুরোধ করছি এই সময়টুকু ধৈর্য ধরে আমাদের পাশে থাকুন।

৪। কাস্টমার যদি ডেলিভারির সময় প্রোডাক্ট চেক করতে চায়:

কাস্টমারকে অবশ্যই ডেলিভারিম্যানের সামনে প্রোডাক্ট চেক করতে হবে। কোনোভাবেই পার্সেল ঘরের ভেতরে নিয়ে বা ডেলিভারিম্যানের চোখের আড়ালে নিয়ে চেক করা যাবে না। মার্চেন্টদের অনুরোধ করা হচ্ছে অর্ডার নেওয়ার সময় কাস্টমারকে এই নিয়ম জানিয়ে দিন।

৫। মার্চেন্ট যদি রিটার্ন প্রোডাক্ট চেক করতে চান:

তাহলে অবশ্যই পাঠাও কুরিয়ার-এর পিকআপ বা ডেলিভারিম্যানের সামনে চেক করতে হবে। একবার অর্ডার “রিটার্ন কমপ্লিট” হলে আর কোনো অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না। যদি পণ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে, তাহলে দয়া করে রিটার্ন পণ্য গ্রহণ না করে সাথে সাথে ডেলিভারিম্যানকে ফেরত দিন।

৬। ক্ষতিপূরণের সর্বোচ্চ সীমা:

যেকোনো সমস্যার ক্ষতিপূরণের সর্বোচ্চ পরিমাণ ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত।

৭। এক্সচেঞ্জ অর্ডার:

এক্সচেঞ্জ বা পণ্য বদলানোর ক্ষেত্রে কাস্টমার যেসব প্রোডাক্ট ফেরত দেবে, তার ক্ষতির জন্য পাঠাও কুরিয়ার দায়ী থাকবে না। মার্চেন্টদের অনুরোধ করা হচ্ছে কাস্টমারকে আগেই জানিয়ে দিন যেন তারা ভালোভাবে প্যাকেজ করে প্রোডাক্ট রিটার্ন করে।

৮। সঠিকভাবে প্যাকেজ করা:

মার্চেন্টদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে প্যাকেজের বক্সটি প্রোডাক্টের চেয়ে অনেক বড় না হয়। যদি ফাঁকা জায়গা থাকে, তাহলে সেটি কুশনিং ম্যাটেরিয়াল দিয়ে পূরণ করতে হবে। এবং প্রোডাক্ট যেন ভিতরে নাড়াচাড়া না করে এমনভাবে ভালোভাবে বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে ফ্র্যাজাইল বা তরল পণ্যের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়াও পাঠাও কুরিয়ার এ আপনি পাচ্ছেন কল সেন্টার সাপোর্ট, প্রোডাক্ট ট্র্যাকিং এবং দেশব্যাপী দ্রুত ডেলিভারি! আপনার নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি সার্ভিস, পুরো ৬৪টি জেলায়!