পাঠাও প্রেস
আমাদের প্রেস রিলিজ, প্রেস কভারেজ ও প্রেস কিট

পাঠাও প্রেস
পাঠাও পে নিয়ে এলো পার্সোনালাইজড মাস্টারকার্ড-ব্র্যান্ডেড প্রিপেইড কার্ড
ঢাকা, বাংলাদেশ – ১৫ জুলাই, ২০২৫ – পাঠাও পে, মাস্টারকার্ড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (MTB) মিলে নিয়ে এসেছে নতুন পাঠাও পে প্রিপেইড কার্ড। এই কার্ড দিয়ে ইউজাররা পাবেন বিভিন্ন রকম ছাড় ও সুবিধা। পাঠাও পে-এর মাধ্যমেই কার্ডটি পাওয়া যাবে। এই কার্ড ইউনিকলি ডিজাইন করা হয়েছে তরুণ ইউজারদের জন্য, যারা ইউনিক ও পার্সোনালাইজড পেমেন্ট এক্সপেরিয়েন্স পছন্দ করেন।
পাঠাও সবসময় ইউজারদের প্রয়োজন ও সুবিধাকে অগ্রাধিকার দেয়, আর তাই এই পাঠাও পে কার্ড দিয়ে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় এবং আন্তর্জাতিকভাবে মাস্টারকার্ড-সাপোর্টেড শপে পেমেন্ট করা যাবে। প্রতিটি লেনদেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড হয়ে যাবে পাঠাও পে ওয়ালেটে, ফলে খরচ ট্র্যাক করাও হবে সহজ। এছাড়া, দেশের যেকোনো মাস্টারকার্ড-সাপোর্টেড এটিএম থেকে সরাসরি পাঠাও পে ব্যালেন্স উইথড্র করা যাবে। কার্ডটি আসছে তিনটি ইউনিক ও মিনিমাল ডিজাইনে, Starlit Horizon, Purple Haze এবং Sunshine Beach।
পাঠাও পে কার্ড পাওয়া যাবে ফিজিক্যাল এবং ভার্চুয়াল দুই ফরম্যাটেই, যা ইউজারের অ্যাকাউন্টের সাথে লিংক থাকবে। পিওএস ট্রানজাকশন, অনলাইন শপিং এবং এটিএম ক্যাশ-আউট সবকিছুই পাবেন এক কার্ডে। তাছাড়া, অ্যাপের মাধ্যমে ইউজাররা তাদের ফাইন্যান্সের ফুল কন্ট্রোল পাবেন। এরই সাথে, সেইফটির জন্য অ্যাপে কার্ড ডিটেইলস থাকবে এনক্রিপটেড এবং অ্যাকসেস করার জন্য অথেনটিকেশন মেথড হিসেবে থাকবে পিন এবং বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন প্রসেস।
পাঠাও-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও, ফাহিম আহমেদ বলেন, “পাঠাও পে কার্ড বাংলাদেশের প্রথম ওয়ালেট-লিঙ্কড কার্ড, যা দিয়ে আপনি এখন ঠিক যেমন চান, তেমনভাবেই ট্রানজেক্ট করতে পারবেন। যখন দরকারটাকা অ্যাক্সেস করতে পারবেন, আর নিজের মত করে ম্যানেজ করতে পারবেন ফিন্যান্স। পাঠাও শুধুমাত্র একটি ব্র্যান্ড নয়, এটি একটি লাইফস্টাইল। আর এখন সেই লাইফস্টাইলকে আরও সহজ করছে পাঠাও পে কার্ড।”
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি-এর সিইও ও এমডি, সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “এমটিবি, পাঠাও পে ও মাস্টারকার্ড-এর এই পার্টনারশিপ আমাদের নতুন প্রজন্মের ইউজারদের জন্য আধুনিক পেমেন্ট সল্যুশন আনতে পেরেছে। এই নতুন কার্ডের মাধ্যমে আমরা ক্রেতাদের এমন সব সুবিধা দিতে চাই, যা তাদের পেমেন্ট অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ ও ইনোভেটিভ করে তুলবে।”
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার, সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, “বাংলাদেশে তরুণদের একটি নতুন কনজ্যুমার ক্লাস তৈরি হচ্ছে, যারা চায় ইউনিক ও পার্সোনালাইজড পেমেন্ট অপশন। মাস্টারকার্ড সবসময় এমন পার্টনারশিপে বিশ্বাস করে, যা কার্ডহোল্ডারদের জন্য নতুন সুযোগ ও সহজ অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে।”
আজ থেকেই পাঠাও পে-এর হাই স্পেন্ডার ইউজারদের পাঠাও পে কার্ড-এর অ্যাকসেস চালু হয়েছে, তারা আগে থেকেই এই নতুন ও স্মার্ট পেমেন্ট অভিজ্ঞতার অংশ হতে পারবেন। অন্যান্যরা এখনই ওয়েটলিস্টে নাম লিখিয়ে ফেলতে পারেন, আর বেশি স্পেন্ড করে অ্যাকসেস পাওয়ার সুযোগও বাড়িয়ে নিতে পারেন। খুব শীঘ্রই শুরু হবে ফুল রোলআউট।
পাঠাও সম্পর্কে,
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও, এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করছে যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩,০০,০০০ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ২ ,০০,০০০ মার্চেন্ট এবং ১০,০০০ রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫,০০,০০০-এরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
মাস্টারকার্ড সম্পর্কে (NYSE: MA), www.mastercard.com
মাস্টারকার্ড একটি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি, যারা পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে কাজ করে। আমরা একটি ডিজিটাল ইকোনমি তৈরি করে চাই, যেখানে সবাই সহজ, নিরাপদ ও স্মার্টভাবে লেনদেন করতে পারবেন। নিরাপদ তথ্য, শক্তিশালী নেটওয়ার্ক, ভালো পার্টনারশিপ এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রযুক্তি ও সেবা ব্যক্তি, ব্যাংক, ব্যবসা এবং সরকারকে তাদের সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ দিতে সাহায্য করে। মাস্টারকার্ড বর্তমানে ২১০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে কাজ করছে এবং এমন এক ভবিষ্যৎ গড়তে চায়, যেখানে সবাই পায় নতুন সুযোগ আর সম্ভাবনা।