পাঠাও প্রেস
আমাদের প্রেস রিলিজ, প্রেস কভারেজ ও প্রেস কিট
পাঠাও প্রেস
বাংলালিংক অরেঞ্জ ক্লাব মেম্বারদের জন্য পাঠাও-এ বিশেষ ডিসকাউন্ট
[ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪] অরেঞ্জ ক্লাব মেম্বারদের বিশেষ ডিসকাউন্ট সুবিধা দিতে পাঠাও-এর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে দেশের উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। অরেঞ্জ ক্লাব লয়্যাল্টি প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের বিশ্বস্ত গ্রাহকদের শীর্ষস্থানীয় জনপ্রিয় সব ব্র্যান্ডের ডিসকাউন্ট প্রদান করে বাংলালিংক।
বাংলালিংক অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা এখন থেকে পাঠাও -এর বাইক রাইড, কার রাইড এবং ফুড অর্ডারে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে পারবেন। গ্রাহকরা সরাসরি পাঠাও অ্যাপ থেকে এই ডিসকাউন্ট নিতে পারবেন।
বাংলালিংকের কাস্টমার ভ্যালু ম্যানেজমেন্টের ডিরেক্টর রফিক আহমেদ ও পাঠাও -এর মার্কেটিং ভাইস প্রেসিডেন্ট আবরার হাসনাইন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সম্প্রতি, বাংলালিংকের কর্পোরেট অফিসে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের কাস্টমার সাইকেল ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর রফিক আহমেদ বলেন, “সম্ভাব্য সকল উপায়ে মূল্যবান গ্রাহকদের জীবন আরও সমৃদ্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলালিংক। অরেঞ্জ ক্লাবের মাধ্যমে আমরা আমাদের বিশ্বস্ত গ্রাহকদের বাজারের সেরা অফারগুলো প্রদান করি। আমাদের মনে করি, বিশেষ এই ডিসকাউন্ট সুবিধা আমাদের গ্রাহকদের পাঠাও রাইড এবং খাবার অর্ডার প্রক্রিয়াকে আরও উপভোগ্য করে তুলবে; একইসাথে, অরেঞ্জ ক্লাবের সাথে তাদের যাত্রাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।”
পাঠাও -এর মার্কেটিং -এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আবরার হাসনাইন বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। পাঠাও -এর সেবাসমূহকে বাংলালিংকের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করার মাধ্যমে আমরা আমাদের যৌথ ব্যবহারকারীদের আরও বেশি সুবিধা প্রদানের এবং বিশেষ অফার উপভোগের সুযোগ নিয়ে এসেছি। এ অংশীদারিত্ব উদ্ভাবন নিয়ে আসতে এবং গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা প্রদানে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করেছে। বাংলালিংক ও পাঠাও -এর অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশজুড়ে কোটি গ্রাহক সহজে প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় সব সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। একইসাথে, আমরা একসাথে একটি সফল ও ইতিবাচক যাত্রার প্রত্যাশা করছি।”
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের লয়্যালটি পার্টনারশিপ ম্যানেজার শাহাদাত এইচ মজুমদার এবং পাঠাও-এর সিনিয়র পিআর স্পেশালিস্ট মো. ফয়েজ। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে দু’টি প্রতিষ্ঠানেরই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলালিংক সম্পর্কে:
বাংলালিংক দেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাহকদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়ার অপার সম্ভাবনা উন্মোচনের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবনযাত্রার পরিবর্তনে বিশ্বাসী বাংলালিংক ডিজিটাল যুগের চাহিদা পূরণে সক্ষম একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হওয়ার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত। এটি নেদারল্যান্ডভিত্তিক সংযোগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ভিওন লিমিটেড-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান, যা ন্যাসড্যাক ও ইউরোনেক্সটের তালিকাভুক্ত।
পাঠাও সম্পর্কে:
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও, এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করছে যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩,০০,০০০ পাঠাও হিরো ও ডেলিভারি এজেন্ট, ১,০০,০০০ মার্চেন্ট এবং ১০,০০০ রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫,০০,০০০-এরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।